ডাক্তার, পুষ্টিবিদ এবং কৃষিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, দৈনন্দিন জীবনে বিশুদ্ধ ও প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুতকৃত নারিকেল তেল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমরা “বাজারের কিং ” পরিবার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ঘানিভাঙা কোল্ড প্রেস নারিকেল তেল সরবরাহ করছি—যেখানে কোনো কেমিক্যাল, কৃত্রিম গন্ধ বা প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না।
এই তেল ১০০% খাঁটি এবং প্রথম চাপের নারিকেল থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা চুল, ত্বক এবং রান্নার জন্য সমানভাবে উপযোগী। কোলেস্টেরল ফ্রি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক এই তেল একবার ব্যবহার করলেই পার্থক্য টের পাবেন ইনশাআল্লাহ।
১. নারিকেল সংগ্রহ ও শুকানো:
পাকা ও ভালো মানের নারিকেল সংগ্রহ করে খোসা ছাড়ানো হয়। এরপর নারিকেল কোরানো হয় এবং কিছুটা শুকানো হয় (সূর্যে বা সোলার ড্রায়ারে)।
২. ঘানিতে ভাঙা (Cold Pressed):
তেঁতুল কাঠ বা সেগুন কাঠের ঘানি ব্যবহার করে নারিকেল ঠাণ্ডা প্রক্রিয়ায় ভাঙা হয়। এতে কোনো গরম বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। এভাবেই তৈরি হয় প্রথম চাপের খাঁটি কোল্ড প্রেস নারিকেল তেল।
৩. ছাঁকনি ও ফিল্টারিং:
তেল ভাঙার পর প্রাকৃতিকভাবে ছেঁকে নেওয়া হয়। এতে কোনো ধুলাবালি বা ফাইবার না থাকে। অনেকে কাপড়ের ফিল্টার বা স্টেইনলেস ফিল্টার ব্যবহার করে।
৪. বোতলজাতকরণ:
তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে ফুড গ্রেড বোতলে ভরা হয়—যা কাচ বা BPA-free প্লাস্টিক হতে পারে।
এরপর সেগুলো পিষে নেওয়ার জন্য ঘানিতে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত প্রায় সকল ধরনের শক্তিশালী কাঠ দিয়েই ঘানি তৈরি করা যায়। তবে তেঁতুল কাঠের তৈরি ঘানি সব থেকে উচ্চ মানের তেল উৎপাদন করতে ব্যবহার করা হয়।ঘানিতে সরিষার দানা নিয়ে যাওয়ার পর সেগুলো ঘানির মধ্যে দিয়ে মোটরের সাহায্যে ঘানির হাতল ধীর গতিতে ঘুরানো হয়। কারণ যদি উচ্চ গতিতে ঘুরানো হয় তাহলে তা অনেক বেশি তাপ সৃষ্টি করবে যা তেলের গুণগত মান নষ্ট করবে।
যাইহোক, এভাবে ধীরে ধীরে হাতল ঘুরানোর কারণে সরিষার দানা ধীরে ধীরে পিষতে থাকবে এবং তা থেকে একটু একটু করে রস বের হতে থাকবে। পরবর্তীতে সেই রস ফিলটার করে তা থেকে তেল আলাদা করে তা বাজারজাত করা হবে।
Not a member? Create an account
Already got an account? Sign in here